কুয়াকাটা সৈকতের কাছের প্রকৃতির মনমাতানো ১০ অজানা সৌন্দর্য
সাগরের বুক চিরে সকালেই দিনের তেজি সূর্যটা আলো ছড়াতে শুরু করে। আবার সন্ধ্যায় সাগরের পানিতে নিভে যায়। দিনের আলোয় কখনও লাল, কখনও সোনালি রঙ সাগরের জলে ভর করে। নীল আকাশের রঙেও রাঙিয়ে তোলে কখনও কখনও। আর দক্ষিণের মৃদু বাতাস মন ও শরীর দুলিয়ে যায় ক্ষণে ক্ষণে।
জেলের জালে দেখা যায় তাজা মাছের লম্ফজম্ফ। দেখা মেলে দেশি-বিদেশি পাখির আপন উৎসব। পূর্ণিমায় আলো রাঙিয়ে তোলে রাতের আঁধার। আছে লাল কাঁকড়ার ছুটোছুটি। দেখা মিলে হরিণ বানরের লুকোচুরি। প্রকৃতি যেন দুহাত মেলে তার রূপ-সৌন্দর্য উজাড় করে আছে উপকূলজুড়ে। কুয়াকাটা এবং এর আশপাশের চর ও দ্বীপগুলো এমন রূপ-রস-সৌন্দর্য বিলাচ্ছে বছরের পর বছর। তাই বলা যায়, প্রকৃতি যে কতটা উদার তা পটুয়াখালীর উপকূল না ঘুরলে বোঝা অসম্ভবই বটে।
কাউয়ার চর সৈকত:
কুয়াকাটা সৈকত থেকে কাউয়ার চর সৈকতের দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নের এই সৈকতের অবস্থান। স্থানীয়ভাবে এটা গঙ্গামতি সৈকত নামেও পরিচিত। এ সৈকতের মূল বৈশিষ্ট্য হলো, সূর্যোদয় দেখা এবং চোখ জুড়ানো ঝাউবাগান।
বন বিভাগের ঝাউগাছ দিয়ে সাজিয়ে রাখা আছে এই সৈকতে। এছাড়া সকাল বেলায় সৈকতের বালুকাবেলায় সারি সারি সাজানো থাকে জেলেদের নৌকার বহর, শেষ বিকালে তা সাগরে ভাসে মাছ শিকারের জন্য। এখান থেকেই অবলোকন করা যায় সাগরে সংগ্রামী জেলেদের জীবনযাত্রা।
যেভাবে যাবেন: গঙ্গামতি সৈকতে গিয়ে সূর্যোদয় উপভোগ করতে হলে খুব ভোরে বের হতে হবে। কুয়াকাটা থেকে মটরসাইকেল, অটোবাইক অথবা সংখ্যায় বেশি হলে বিচ কার নিয়ে যেতে পারবেন। যেহেতু কুয়াকাটা থেকে কাছেই সেহেতু গঙ্গামতি ঘুরে আবার কুয়াকাটা চলে আসতেও বেশি সময় লাগবে না।
চর বিজয় সৈকত:
কুয়াকাটা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠেছে একটি চর। বিজয়ের মাসে এর সন্ধান পাওয়ায় নাম রাখা হয় ‘চর বিজয়’। চরটি বর্ষার ছয়মাস পানিতে ডুবে থাকে। আবার পানি নেমে গেলে, বিশেষ করে শীত মৌসুমে দেখা মেলে এ চরের। এ সময় সৈকতের পুরোটাই প্রায় দখলে নিয়ে নেয় লাল কাঁকড়া। সৈকতজুড়ে দেখা যায় অসংখ্য পাখির ওড়াউড়ি। দু’চোখ দিয়ে চারদিকে তাকালেই দেখা মেলে পানিতে ছোট বড় অসংখ্য মাছের নাচানাচি।
যেভাবে যাবেন: কুয়াকাটা সৈকত থেকে ট্যুরিস্ট বোট, স্পিডবোট অথবা ট্রলার ভাড়া করে যেতে হবে ‘চর বিজয়’। যেহেতু দ্বীপটি বর্ষায় তলিয়ে যায় তাই থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। সন্ধায় আবার চলে আসতে হবে কুয়াকাটায়।
চর তুফানিয়া সৈকত:
কুয়াকাটা থেকে থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে চর তুফানিয়া দ্বীপ। দ্বীপটি এতই সুন্দর যে, এখানে গেলে চারদিকে সমুদ্রের জলরাশি দেখা যাবে। সাধারণত এটা লাল কাঁকড়ার নিরাপদ আবাসভূমি। জানা গেছে, দ্বীপটি জেগে ওঠে ষাটের দশকে। তুফানের সময় যেমন হয়, তেমনি বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়তো বলেই জেলেরা এ দ্বীপের নাম দিয়েছিল তুফানিয়া। এছাড়া, এখানে রয়েছে ৫০০ একর বনাঞ্চল।
যেভাবে যাবেন: কুয়াকাটা থেকে সরাসরি ট্যুরিস্ট বোট, স্পিডবোট অথবা ট্রলার নিয়ে আসতে হয় এ দ্বীপে। তবে, এখানে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে, এ দ্বীপ থেকে দুই কিলোমিটার দূরেই রয়েছে জাহাজমারা দ্বীপ, সেখানেও যাওয়া যেতে পারে।
জাহাজমারা সৈকত:
সৈকতে লাগোয়া জলে নির্বিঘ্নে সাঁতার কাটছে মাছেদের দল। সাগরের ঢেউয়ের তালে তালে ছোট ছোট বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দলের ছোটাছুটি চোখে পড়ে। এমন একটি জায়গার নাম জাহাজমারা।
স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘবছর আগে এই সৈকতে একটি জাহাজ আটকে পড়ে এবং ধীরে ধীরে সেই জাহাজটি বালুতে ডুবে যায়। এরপর থেকেই স্থানীয়রা জাহাজমারা সৈকত নামকরণ করে। চর তুফানিয়া থেকে ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জাহাজমারা সৈকত। পটুয়াখালীর সাগরঘেঁষা রাঙ্গাবালী উপজেলায় মৌডুবী ইউনিয়নে সৌন্দর্যের লীলাভূমি জাহাজমারার প্রধান আকর্ষণ সূর্যাস্ত। এছাড়া সৈকতজুড়ে দেখা মিলতে পারে তরমুজের বিস্তীর্ণ মাঠ।
যেভাবে যাবেন: চরতুফানিয়া থেকেই আসতে হবে এখানে। আর থাকতে চাইলে যেতে হবে রাঙ্গাবালীতে। সেখানে ডাকবাংলাসহ রয়েছে স্থানীয় কিছু হোটেলে থাকার ব্যবস্থা। অথবা ক্যাম্প করেও থাকা যাবে এখানে। এখান থেকে যাওয়া যাবে আরেক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সোনারচর সৈকতে।
সোনার চর সৈকত:
এ জেলায় অবস্থিত আরেকটি নয়নাভিরাম সৈকতের নাম সোনারচর। সূর্যাস্ত ও সুর্যোদয়ের সময় সৈকতজুড়ে টুকটুকে লাল রং ধারণ করায় এর নামকরণ করা হয় সোনার চর নামে।
কুয়াকাটা সৈকত থেকে দক্ষিণে ১০ কিলোমিটার দূরে সাগরের মাঝে অবস্থিত সোনারচরের সৌন্দর্য পাগল পর্যটকদের অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মানে। সোনারচরে সুন্দরবনের মতোই রয়েছে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ও এর ভিতরে ছোট ছোট খাল। গোটা দ্বীপটি যেন সাজানো-গোছানো এক বনভূমি। রয়েছে কেওড়া, সুন্দরী, গড়ান, হেঁতাল, গোলপাতাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
নিভৃত সোনার চরে শুধু নানান ধরনের বৃক্ষের সমাহারই নয়, রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীও। হরিণ, শিয়াল, মহিষ, বন্য শুয়োর, বানর এ বনের বাসিন্দা। রয়েছে চার কিলোমিটার সমুদ্রসৈকত। নগরের কর্মচাঞ্চল্য থেকে বহুদূরে এই সৈকতের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য এখনও অনেকের কাছে অজানা।
যেভাবে যাবেন: জাহাজমারা দ্বীপ থেকে সোনারচরের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। জাহাজমারা থেকে সরাসরি নদী পথে আসতে হবে সোনারচরে। চাইলে এখানে তাবু করে রাত যাপনও করতে পারবেন। আর সোনারচর থেকে ১ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে আরেকটি দ্বীপ ‘চর হেয়ার’। সোনারচরের সৌন্দর্য উপভোগ করে চলে যাওয়া যাবে সেখানে।
‘চর হেয়ার’ সৈকত:
গুগলে সার্চ করলে এ দ্বীপটি ’চর হেয়ার’ নামে আসলেও স্থানীয়দের কাছে একটি কলাগাছিয়ার চর নামে পরিচিত। চর হেয়ারের ভিতরটা পাখিদের কিচিরমিচির ও ঝরা পাতা দিয়ে ঢেলে সাজানো। শ্বাস প্রশ্বাসের নেয়ার জন্য রয়েছে এক বিশাল সৈকত।
যেভাবে যাবেন: সোনারচরের মতোই একইভাবে আসতে হবে এর হেয়ার দ্বীপে। তবে সোনারচর ও এখানে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে এখানে আসা অধিকাংশ পর্যটকরা তাবু করে থাকে। আর হোটেলে থাকতে চাইলে যেতে হবে ৫ কিলোমিটার দূরে চরমন্তাজ ইউনিয়নে। সেখানে রয়েছে কয়েকটি থাকার হোটেল এবং খাওয়ার ব্যবস্থা।
লেম্বুরচর সৈকত:
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্বে লেবুর বন অবস্থিত। যা স্থানীয়দের কাছে লেম্বুর চর বা নেম্বুর চর নামেও পরিচিত। তিন নদীর মোহনায় এ সৈকতটির অবস্থান হওয়ায় সূর্যাস্ত দেখার জন্য পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় জায়গা এই লেবুর চর।
১০০০ একর আয়তনের লেবুর চরে আছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। যেমন কেওড়া, গেওয়া, গোরান, কড়ই, গোলপাতা ইত্যাদি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবেষ্টিত এই চর পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান।
যেভাবে যাবেন: কুয়াকাটার পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত হওয়ায় এই চরে কুয়াকাটা থেকে সহজেই যাওয়া যায়। সৈকত সংলগ্ন বেরিবাঁধের উপর থেকে মটরসাইকেল, ভ্যান কিংবা যে কোনো যানবাহন এ চরে যেতে পারবেন। চাইলে হেঁটেও যাওয়া যায়। এছাড়া কুয়াকাটা সৈকত থেকে স্পিডবোট কিংবা ট্রলারেও যাওয়া যায়।
ফাতরার চর সৈকত:
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গেলে চোখে পড়বে সবুজে ঘেরা, নীল জলরাশি সাগর মোহনার বুকে জেগে ওঠা ‘ফাতরার বন’ বা ‘ফাতরার চর’ নামক সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। এ যেন সাগরের বুকে ভাসমান কোনো অরণ্য।
ট্রলারে চেপে যখনই আপনি ফাতরার চরের খালে ঢুকবেন, তখনই আপনাকে স্বাগত জানাবে দুপাশের ঘন সবুজ অরণ্য। ট্রলারের জেটি পেরিয়ে আপনি চরের ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে একটি সাইনবোর্ড। যেখানে লেখা আছে, টেংরাগিরি অরন্য। এর ভেতরেই রয়েছে শান-বাঁধানো একটি পুকুর ও বন বিভাগ নির্মিত একটি রেস্টহাউজ।
মূলত চরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করা মানুষের মিঠাপানির জন্য করা হয়েছে এই পুকুর। পুকুরপাড় দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন ঘন গহিন অরণ্যে। প্রকৃতির এই নিস্তব্ধতার মাঝে ক্ষণে ক্ষণে ডেকে ওঠা পাখির ডাক আপনাকে নিয়ে যাবে এক অন্য জগতে। চরের পূর্বাংশে রয়েছে একটি ছোট সমুদ্রসৈকত, ভাটার সময়ে নামতে পারেন এই সৈকতটিতে।
যেভাবে যাবেন: কুয়াকাটা থেকে প্রতিদিন সকালে থেকে ট্যুরিস্ট বোট পর্যটকদের নিয়ে বনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। চাইলে রিজার্ভ নিয়েও যাওয়া যায়। এছাড়া স্পিডবোট কিংবা ট্রলারেও যেতে পারবেন সেখানে। তবে, দৃষ্টিনন্দন এই চরটিতে এখনও পর্যটকদের জন্য থাকার কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। তাই চাইলে তাবু করে থাকতে পারবেন অথবা আপনাকে ওইদিনই আবার ফিরে যেতে হবে কুয়াকাটায়।
নিদ্রা সৈকত:
ফাতরার চর সৈকত থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে একটি জায়গা। যার একদিকে সাগর আর অন্যদিকে নদী। মাঝখানে বেড়ে ওঠা কেওড়া ও ঝাউবনে ঘেরা সবুজ এক দৃষ্টিনন্দন সৈকত ঘিরে চলে দিবানিশি জোয়ার-ভাটার খেলা। সৈকত সৌন্দর্যে এমন অপার সম্ভাবনাময় সৈকতের নাম নিদ্রা। নিদ্রা সৈকতে গেলে মনে হবে সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালি সৈকত এটি। এটি বরগুনা জেলার তালতলীতে অবস্থিত।
যেভাবে যাবেন: ফাতরার চর সৈকত থেকে বোট এ করে সরাসরি নিদ্রা সৈকতে যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। তবে এখানে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। চাইলে তাবু করে থাকা যায় অথবা তালতলীতে জেলা পরিষদ ডাক বাংলো কিংবা স্থানীয় হোটেলে থাকতে হবে।
শুভ সন্ধ্যা সৈকত:
নিদ্রা সৈকত থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের সাগর তীরের মুক্ত বাতাস এবং চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট টেংরাগিড়ির একটি অংশ। ফলে সাগরপাড়ে সবুজের সমারোহের সাথে সাথে বন্যপ্রাণীর অবাধ বিচরণ চোখে পড়বে এখানে।
প্রচলিত সমুদ্র সৈকতের তুলনায় এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় কম থাকায় নিরিবিলিতে সময় কাটাতে পর্যটকদের কাছে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত। এছাড়া উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ জ্যোৎস্না উৎসব অনুষ্ঠিত হয় এ সৈকতেই।
যেভাবে যাবেন: নিদ্রা সৈকত থেকে সরাসরি বোট নিয়ে সাগর পথে যাওয়া যায় শুভসন্ধা সৈকতে। যাওয়া যায় সড়ক পথেও। এছাড়া হেঁটে যেতে সময় লাগে মাত্র ২০ মিনিট। তবে শুভ সন্ধ্যা সৈকতে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই। চাইলে তাবু করে থাকা যায় অথবা তালতলীতে হোটেলে থাকতে হবে।
মূলত, এসব সৈকত লাগোয়া দ্বীগুলোর নাম আমাদের কাছে সবসময় অজানাই থেকে যেত, যার মূল কারণ ছিল যাতায়াত ব্যবস্থা। একসময় পর্যটকরা একদিনের জন্য ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় আসলেও ফেরি জটিলতার কারণে ৩ দিনের সময় নিয়ে আসতে হত। তবে পদ্মা সেতুর কল্যাণের কারণে ফেরি জটিলতা লাঘব হয়েছে। আর এখন ৪ থেকে ৫ দিন সময় নিলেই দেখতে পাবেন এসব দ্বীপ লাগোয়া সৈকতের সৌন্দর্য। এছাড়া, এসব সৈকতের সৌন্দর্য সহজেই উপভোগ করতে চাইলে স্থানীয় ভ্রমণ গাইডের সহযোগিতাও নিতে পারেন।
ঢাকা থেকে যেভাবে কুয়াকাটা যাবেন:
ঢাকার কলাবাগান, সায়দাবাদ ও গাবতলী থেকে সরাসরি বাসে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। এসি-ননএসি সকল ধরনের বাস ঢাকা- কুয়াকাটা রুটে চলাচল করে। কোম্পানি ভেদে ভাড়া সর্বনিম্ন ৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা। সময় লাগবে ৬ ঘণ্টা বা ৭ ঘণ্টা।
আর যদি আপনি ভ্রমণ পিপাসু হন এবং লঞ্চ জার্নি করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ঢাকার সদরঘাট থেকে পটুয়াখালীর লঞ্চে উঠতে হবে। সন্ধ্যা ছয়টার আশেপাশে পটুয়াখালীর উদেশে ছাড়ে লঞ্চগুলো। ভাড়া, সাধারণ (ডেক) ৪০০/৫০০ টাকা। কেবিন (সিঙ্গেল) ১৩০০ টাকা এবং ডাবল (২৪০০) টাকা, সময়ভেদে কমবেশি হতে পারে। এছাড়া, ফ্যামিলি ও ভিআইপি কেবিন পেয়ে যাবেন ৩৫০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে নেমে অটো গাড়ি অথবা রিকশা নিয়ে চলে যাবেন বাসস্ট্যান্ড। সেখান থেকে ১৮০ টাকায় আঞ্চলিক বাসে চলে যেতে পারবেন কুয়াকাটা।
রইসুল ইসলাম ইমন / যমুনা টিভি