ঢাকায় শরতের কাশফুল, যেভাবে যাবেন
শরৎ মানেই কাশফুল। শরতের শুভ্র কাশবনে বেড়ানোর সময় এখনই। দেশের বিভিন্ন জায়গার নদীতীর, খোলা প্রান্তর ছেয়ে গেছে কাশফুলে। ঢাকা শহর এবং আশপাশে এমন অনেক জায়গা আছে।
শরতের কাশফুলের এ রূপ সহজেই যে কারো মনে দোলা দিতে বাধ্য করবে। চলুন সেসব কাশফুলর রাজ্য থেকে ঘুরে আসি-
সারিঘাট
ঢাকার মধ্যে কাশফুল দেখার জন্য বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গা সারিঘাট। পুরান ঢাকার পোস্তাগোলা ব্রিজ থেকে অটো যোগে ঘুরে আসতে পারেন সারিঘাট। নগরের যান্ত্রিক দিক থেকে সরে কিছুটা প্রাকৃতিক ছোঁয়ার জন্য জায়গাটা মন্দ নয়। সবুজে ঘেরা পরিবেশ আর সঙ্গে নৌকা ভ্রমণ আপনার মন ভালো করে দেবে। এখানে এলে হারিয়ে যাবেন গ্রাম বাংলার চির চেনা প্রকৃতির মাঝে।
মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ
নদীর তীরবর্তী বালুময় প্রান্তরে শরতে কাশফুলের মেলা বসে। আর বুড়িগঙ্গা তীরের মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ কাশফুলের তেমনি এক রাজ্য। এছাড়াও বসিলা সড়ক ধরে এগিয়ে ওয়াশপুরের বিভিন্ন ফাকা জমিতে কাশফুলের সমারোহ দেখা যায়।
বসুন্ধরা তিনশ’ ফিট সড়ক
কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচল যেতে হয় তিনশ’ ফিট রাস্তা ধরে। এই রাস্তার দুই ধারেই রয়েছে অসংখ্য কাশবন। চাইলে হেঁটে হেঁটেই ঘুরে দেখা যায়। রিকশা করেও ঘুরতে পারেন। কালো কুচকুচে পিচঢালা রাস্তার দু-পাশে শুভ্রতার সমারোহ মনকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় কল্পনার রাজ্যে।
দিয়াবাড়ি
উত্তরা দিয়াবাড়িতে কাশবন রয়েছে। কাশবনের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি ফটোসেশনে জন্য দিয়াবাড়ি একটি আদর্শ জায়গা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে বিনোদনপ্রেমীদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। আর কাশবনের পাশে নদীর তীরের হিমেল বাতাস আলোড়িত করে দর্শনার্থীদের।
মায়াদ্বীপ
মেঘনার বুকে কাশফুলের মায়া ছড়িয়ে আছে মায়াদ্বীপ। এই দ্বীপে শুধু কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগই নয়, বোনাস হিসাবে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গেও পরিচিত হতে পারবেন। ঢাকার গুলিস্তান থেকে বাসে চড়ে বৈদ্দের বাজার এসে সেখান থেকে মেঘনার ঘাট হয়ে ইঞ্জিন নৌকা ভাড়া করে মায়াদ্বীপ যাওয়া যায়।
আফতাবনগর
ঢাকা শহরের মধ্যেই আফতাবনগর আবাসিক এলাকার পেছনের দিকটায় ছেয়ে গেছে কাশফুলে। বিটিভি ভবন পেছনে ফেলে রামপুরা সেতু পেরিয়ে ওপার থেকে হাতের ডানে গেলে দেখা মিলবে শুভ্রতায় ঘেরা ভিন্ন এ জগতের। কাশফুল বেশিদিন থাকে না, তাই কাশফুলের ছোঁয়া পেতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে যান আপনার সুবিধা মতো জায়গায়।
প্রয়োজনীয় তথ্য:
যে কোনো ছুটির দিনে কিংবা অফিস শেষে একটু সময় বের করেই বেড়িয়ে আসতে পারেন কাশবন থেকে। তবে এসব জায়গায় একাকী বেড়াতে না যাওয়াই ভালো। জায়গাগুলোর বেশিরভাগই নির্জন ও জনমানবহীন। ভ্রমণে যাওয়ার সময় সঙ্গে হালকা খাবার ও পানীয় নিয়ে নিতে ভুলবেন না। সূত্র : ডিএমপি নিউজ