মেলখুম - Melkhum । ঘুরে আসা যাবে এক দিনেই
মেলখুম - Melkhum
অবস্থানঃ মিরসরাই-সিতাকুণ্ড রেঞ্জ
শুরুর দিকে ট্রেইলটা আপনার পছন্দ হবে না। খুমটাকেও আপনার খুব একটা চোখে লাগবে না। কিন্তু খুম পার হওয়ার পরে আপনি যা দেখবেন, তা আপনাকে জীবনের বেশ বড় একটা সময় মনে রাখতে হবে। অল্প পানিতে আপনি হেঁটে যাচ্ছেন, দু’পাশের পাথুরে দেয়াল বেয়ে আপনার গায়ে টুপটাপ পানির ফোঁটা পড়ছে..... নির্জন .... একটু পরপর সূর্য আলো ছায়ার খেলা খেলছে। ভাবুন ভাবুন....
যদি খুম পার না হতে পারেন, তাহলে এখানে যাওয়ার দরকার নেই। আমার ব্যক্তিগত মতামত আর কি।
খুম পার হওয়ার দুটি উপায়। (১) খুমের মধ্য দিয়ে হেঁটে এবং সাঁতরে (২) পাহাড় বেয়ে নেমে।
যদি সাঁতার না জানেন, তাহলে খুমে নামার চিন্তাও করবেন না। আর যদি পাহাড় বেয়ে নামেন, তাহলে অবশ্যই দড়ি নিয়ে যাবেন। মোটামুটি চার-পাঁচতলা বিল্ডিং সমান উচ্চতা আপনাকে দড়ি বেয়ে নামতে হবে। এজন্য খুমে সাঁতার কেটে যাওয়াটা সহজ।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, যাওয়ার সময় পাহাড় বেয়ে নামা এবং ফেরার সময় খুমে সাঁতার কাটা ভালো প্লান।
ঢাকা থেকে যেভাবে যাবেন-
ঢাকা সায়েদাবাদ থেকে চট্টগ্রামগামী যে কোনো বাসে আপনি যেতে পারেন। বাস থেকে নামতে হবে সোনাপাহাড় বাজার। এই জায়গাটা খুব একটা পরিচিত না। নন এসি বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা। তবে সায়েদাবাদ থেকে বেশ কিছু লোকাল বাস যায়, ওগুলোতে দরদাম করে গেলে ৩০০-৪০০ টাকায় যেতে পারবেন।
বাসে সোনাপাহাড় বাজারেই নামতে পারবেন। তবে বাস ভোর রাতে পৌঁছালে সোনাপাহাড় না নেমে আপনাকে বারৈয়ারহাট নামতে হবে। বারৈয়ারহাটে সকালের নাস্তা করে লেগুনায় সোনাপাহাড় বাজারে যাবেন, জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা।
সোনাপাহাড় বাজার থেকে পূর্বদিকে আগালে রেললাইন। এরপর পূর্বদিকে হাঁটতে থাকবেন। পাহাড় কাটা মাটির রাস্তা।
মিনিট ২০-২৫ হাঁটার পরে পাচ্ছেন ঝিড়ি। প্রথমেই ঝিড়িতে না নেমে ঝিড়ি খেয়াল করে রাস্তা ধরে হেঁটে আগাবেন। রাস্তার শেষে ঝিড়িতে নেমে হাঁটতে
থাকবেন। একটাই ঝিড়ি পথ, পথ হারানোর ভয় নেই।
ঝিড়ির শেয়ে খুম পাচ্ছেন। এটাই কাঙ্ক্ষিত মেলখুম। যেটা দেখার জন্য আপনি এত কষ্ট করে আসলেন।
এবার সিদ্ধান্ত নিন আপনি খুমের মধ্য দিয়ে যাবেন নাকি পাহাড় বাইবেন।
যেকোনো একটা উপায়ে ঝিড়ি পার হওয়ার পরে আপনি পাচ্ছেন চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য্য, যা না দেখে বিশ্বাস করার মত না।