কেওক্রাডং । কিভাবে যাবেন?
কেওক্রাডং বা কেওকাড়াডং বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা বান্দরবানে অবস্থিত। এক সময় এটিকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ধরা হতো। তবে আধুনিক গবেষণায় এই তথ্য ভুল বলে পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হলো তাজিংডং (অফিসিয়ালভাবে)। আনঅফিসিয়ালি সাকা হাফাংকে বলা হয় সর্বোচ্চ ধরা হয়।
অবস্থান ও উচ্চতা
কেওক্রাডং বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। অর্থাৎ বান্দরবানেরও দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। একসময় যখন একে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মনে করা হতো তখন এর উচ্চতা পরিমাপ করা হয়েছিল ১,২৩০ মিটার। কিন্তু অধুনা রাশিয়া কর্তৃক পরিচালিত এসআরটিএম উপাত্ত এবং জিপিএস গণনা থেকে দেখা গেছে এর উচ্চতা ১,০০০ মিটারের বেশি নয়। শৃঙ্গের শীর্ষে সেনাবাহিনী কর্তৃক উৎকীর্ণ যে ফলক দেখা যায় তাতে এর উচ্চতা লেখা হয়েছে ৩,১৭২ ফুট। জিপিএস সমীক্ষায় উচ্চতা পাওয়া গেছে ৯৭৪ মিটার (৩,১৯৬ ফুট)। এই পরিমাপটি রুশ পরিমাপের সাথে খাপ খায়। এসআরটিএম উপাত্ত এবং মানচিত্রের মাধ্যমে এই পরিমাপ করা হয়েছে। অবশ্য বর্তমানে রুশ এসআরটিএম উপাত্ত এবং ইউএসজিএস-এর মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে কিওক্রাডাং-এর প্রকৃত অবস্থান এটি নয় (স্থানাঙ্ক: ২১°৫৬′৫৯″ উত্তর ৯২°৩০′৫১″ পূর্ব নয়)। তারা এ স্থান থেকে আরো উত্তরে কেওক্রাডাং এর অবস্থান শনাক্ত করেছেন এবং এর উচ্চতা ৮৮৩ মিটার পরিমাপ করেছেন।
নামকরণ
কেওক্রাডং শব্দটি মারমা ভাষা থেকে এসেছে। মারমা ভাষায় কেও মানে ‘পাথর’, কাড়া মানে ‘পাহাড়’ আর এবং ডং মানে ‘সবচেয়ে উঁচু’। অর্থাৎ কেওক্রাডং মানে সবচেয়ে উঁচু পাথরের পাহাড়।
যাতায়াত
প্রথমে বান্দরবন আসতে হবে।ঢাকা থেকে বিভিন্নভাবে বান্দরবন আসা যায়। বাসযোগে সরাসরিভাবে আসা যায়।
ঢাকা টু বান্দরবান রুটে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে এস আলম, সৌদিয়া, ইউনিক, হানিফ, শ্যামলি, সেন্টমার্টিন পরিবহন, ডলফিন ইত্যাদি পরিবহনের বাস বান্দরবনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এসি ও ননএসি জনপ্রতি এসব বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ১৮০০ টাকা।
বান্দরবন থেকে কেওক্রাডং
রুমা –> বগালেক –> কেওক্রাডং
বান্দরবান থেকে বাস বা চান্দেরগাড়িতে করে রুমা সদর উপজেলা যাওয়া যায়। সেখান থেকে পরবর্তী গন্তব্য বগালেক।
বগালেক থেকে বাকিপথ ট্রেক করে বা চান্দেরগাড়ি দার্জিলিংপাড়া হয়ে বাংলাদেশের অন্যতম উচ্চতম শৃঙ্গ কেওক্রাডংয়ে যাওয়া যায়।