পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন থেকে ব্লগার সুরভিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

abc

রাঙ্গামাটি সাজেক ভ্যালির অগ্নিকাণ্ড নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করার অভিযোগ তুলে ট্রাভেল ব্লগার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর সুরভি ইয়াসমিনকে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে দেশের পর্যটন সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাসোসিয়েশন।

সোমবার ভিন্ন ভিন্ন বিজ্ঞপিতেকে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অনলাইন ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ওটাব), ই-ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইটাব), হাউজবোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সুনামগঞ্জ এবং রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন (আরওএএস)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মালিকানাধীন সকল হোটেল, রিসোর্ট, কটেজ, হাউসবোট, রেস্টুরেন্টে সুরভি ইয়াসমিনকে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। তাকে দিয়ে সংগঠনের কোনো সদস্য তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের প্রমোশনের জন্য কোনোরকম কনটেন্ট ভিডিও তৈরি করতে পারবে না। এমনকি কোনো বুকিং নিতে পারবেন না।

একইসাথে এই সিদ্ধান্ত অমান্য করলে সেই সদস্যের জরিমানা করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

সুরভি ওই পোস্টে লেখেন, ‘শুনলাম সাজেকের অনেক রিসোর্ট আগুনে পুড়ছে। No Regret. একসময় পাহাড়ীদের বাড়ী পুড়িয়ে আপনাদের ব্যবসা দাঁড় করিয়েছিলেন। Karma Talks।’

এই পোস্ট নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়ে এই কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে। যদিও পরবর্তীতে পোস্টটি ফেসবুকে থেকে মুছে দেন তিনি। পরে আরে পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, আমার পাহাড় খুব পছন্দ। আমি চাই যেখানে যাব সেখানের ঐতিজ্যের অভিজ্ঞতা নেয়া। কিন্তু প্রাকৃতিক একটা জায়গাকে এক কথায় নিয়মের তোয়াক্কা না করে একটার ওপর একটা রিসোর্ট তৈরি হচ্ছে। যেটা প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকর। আজ এখানে আগুন লেগে এক নাগারে এতগুলো রিসোর্ট পুড়ল এটা অবশই মর্মান্তিক। অনেক লোক এই বাণিজ্যর সাথে জড়িত। লাখ লাখ টাকা খরচ করেছেন। অনেক ক্ষতি হয়েছে আপনাদের সেটার জন্যও আমি দুঃখিত। কিন্তু একবারো চিন্তা করেনি নিয়ম না মেনে অনেকগুলো রিসোর্ট বানানোর কারনে আজ শুধু রিসোর্ট মালিকদের না, প্রকৃতিরও কতটা ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরো লেখেন, আমার একটা পোস্ট পরে আমাকে আপনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে এক নোটিশের মাধ্যমে যত সহজে বয়কট করেছেন ঠিক সেভাবে যদি কঠোরভাবে আপনারা আজ থেকে আইনশৃঙ্খলা মেনে আগামীর সাজেক গড়ে তুলতেন তাহলে আজ আর এমন কিছু দেখতে হতো না এবং আগামীতে আর এই দিন দেখতে হবে না আমাদের।

উল্লেখ, সোমবার সাজেক পর্যটন এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন লাগার পর চার ঘণ্টারও বেশি সময় পর তা নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে ৫০টিরও বেশি বাড়িঘর, রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট পুড়ে গেছে।